বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে নতুন নিয়োগ শুরু হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় আলাদা আলাদা তারিখে নিয়োগ শুরু হবে, নিচে টেবিলে সময়সূচি দেয়া আছে।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ৯৬৮০ হাজার কনস্টেবল পদে বিশাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ৯৬৮০ হাজার পদের মধ্যে ৬,৮০০ জন পুরুষ ও ২,৮৮০ জন নারীকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
বেতন ও ভাতা
ছয় মাসের প্রশিক্ষণ চলাকালে পাওয়া যাবে পোশাক, থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসা সুবিধা। পাশাপাশি দেওয়া হবে ৭৫০ টাকা মাসিক ভাতা। প্রশিক্ষণ শেষে নিয়োগপ্রাপ্তদের ২০১৫ সালের বেতন স্কেলের ১৭তম গ্রেড অনুযায়ী বেতনক্রম হবে ৯০০০-২১৮০০ টাকা। দুই বছরের শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনকভাবে শেষ করার পর কনস্টেবল পদে স্থায়ী করা হবে। পাওয়া যাবে পোশাকসামগ্রী, ঝুঁকি ভাতা, চিকিৎসা সুবিধা ও স্বল্পমূল্যে রেশনসামগ্রী। রয়েছে পদোন্নতিসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার সুযোগ।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
এসএসসি বা সমমান পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীদের উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ থাকতে হবে ২ দশমিক ৫ ।
বয়স
আবেদনের জন্য প্রার্থীদের বয়স ১-জুন-২০১৯ তারিখে ১৮ থেকে ২০ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর। শুধু অবিবাহিত নারী ও পুরুষরা আবেদন করতে পারবেন।
শারীরিক যোগ্যতা
পুরুষ প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুরুষ প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি হতে হবে। এ ছাড়া উপজাতীয় কোটায় পুরুষ প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি হতে হবে। নারী প্রার্থীদের জন্য সব কোটায় উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে। প্রার্থীদের ওজন উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।
বাছাই পরীক্ষা
শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া হবে প্রার্থীর নিজ জেলার পুলিশ লাইনস ময়দানে।
এর আগে কোনো আবেদনের প্রয়োজন নেই। নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ। চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে রাখতে হবে কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র। শারীরিক মাপ পরীক্ষায় বয়স, উচ্চতা, বুকের প্রস্থ ও ওজন ঠিক আছে কি না যাচাই করা হবে। এরপর অংশ নিতে হবে দৌড়ে। ফিটনেস যাচাইয়ের জন্য হতে পারে লং জাম্প পরীক্ষাও।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে জেলার পুলিশ সুপার পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র ইস্যু করবেন। একই সঙ্গে তিনি লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করে প্রার্থীদের জানিয়ে দেবেন। লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রবেশপত্র সঙ্গে আনতে হবে ।
Leave a Reply