স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে ৬ উপজেলাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারী কর্মকর্তা।
চাঁদপুরের আট উপজেলার মধ্যে ফরিদগঞ্জ ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাড়া বাকি সবকটি উপজেলার ইউএনও নারী। চাঁদপুর সদর উপজেলায় কানিজ ফাতেমা, হাজীগঞ্জে বৈশাখী বড়ুয়া, কচুয়ায় নীলিমা আফরোজ, মতলব উত্তরে শারমিন আক্তার, হাইমচরে ফেরদৌসি বেগম ও শাহরাস্তিতে শিরিন আকতার ইউএনও হিসেবে আছেন।
শাহরাস্তি উপজেলার ইউএনও শিরিন আকতার এর আগে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ৩১তম বিসিএস ক্যাডার। ইউএনও শিরিন আকতার ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী।
হাইমচরে ইউএনও ফেরদৌসি বেগম ১৫ এপ্রিল এই দায়িত্বে যোগ দেন। এর পূর্বে তিনি চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফেরদৌসি বেগম ৩০তম বিসিএস ক্যাডারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
হাজীগঞ্জের ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া। এর আগে তিনি ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেড় বছর আগে তিনি ইউএনও হিসেবে হাজীগঞ্জে উপজেলায় যোগদান করেন।
মতলব উত্তরের ইউএনও শারমিন আক্তার বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নেতৃত্বের প্রসারে এটি একটি অনন্য উদাহরণ। সকল নারীরাই তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করছে। আমরা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বটুকু অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সাথে পালনের চেষ্টা করি।
কচুয়ার ইউএনও নীলিমা আফরোজ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘কচুয়ার জনগণের সাথে কাজ করতে পেরে আমি যথেষ্ট খুশি। সরকার যেভাবে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে আনছে, তাতে আমার মনে হয় বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ নারী নেতৃত্বে প্রথম হবে। আমরা মেয়েরা সবাই সাহস পাচ্ছি। নিষ্ঠার সাথে কাজ করছি।‘
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসি বেগম বলেন, ‘ সাধারণ মানুষের সেবা করার পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি এবং কাজ করে যাব।’
তাছাড়া, চাঁদপুরের ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সদরের আসনের সাংসদ ডা. দীপু মনিও নারী। শুধু তাই নয় তিনি এ সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীও।