ঢাকাSunday , 28 April 2019
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আরো
  4. উপজেলা
  5. কচুয়া
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. চাঁদপুর সদর
  9. জাতীয়
  10. ধর্মীয়
  11. প্রচ্ছদ
  12. ফরিদগঞ্জ
  13. বিনোদন
  14. মতলব উত্তর
  15. মতলব দক্ষিন

চাঁদপুরে নতুন নিয়মে নামাজ পড়ানোকে কেন্দ্র করে মারামারি: অতঃপর!

chandpur24
April 28, 2019 3:07 pm
Link Copied!

ষ্টাফ রির্পোটারঃ  চাঁদপুর শহরের পূর্ব নাজিরপাড়া এলাহী জামে মসজিদে গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মুসল্লিদের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে মুসলি্লদের প্রতিরোধের মুখে ইমাম পলায়ন করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এ ঘটনার রেশ না কাটায় সে দিন আছরের নামাজ এ মসজিদে পুলিশ পাহারায় আদায় করেছেন মুসলি্লরা। মসজিদ এলাকায় এখনও থমথমে ভাব বিরাজ করছে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা নিয়ম বাদ দিয়ে আগন্তুক এক ইমাম নূতন নিয়মে নামাজ পড়ানোয় এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূএে জানা গেছে।

সেই সুবাদে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসিম উদ্দিন বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামদের সাথে ২৫শে এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নিজ করার্যালয়ে মতবিনিময় করেছেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের জেলা সাধারণ সম্পাদক ও আহমদিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান, জেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি ও চেয়ারম্যান ঘাটা বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতিব মাওঃ মোঃ সাইফুদ্দিন খন্দকার, ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পাটোয়ারী বাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওঃ আব্দুস সালাম, আহমদিয়া ফাযিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ,জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আল-হেলাল জামে মসজিদের খতিব মাওঃ মোঃ আবদুর রহমান গাজী , এলাহী জামে মসজিদের খতিব মাওঃ গাজী মুহাম্মদ হানিফ, কালেক্টরেট জামে মসজিদের খতিব মাওঃ মোঃ মোশাররফ হোসাইন, রেলওয়ে বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের খতিব মাওঃ আব্দুর রাজ্জাক, বেগম জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান, জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওঃ আনোয়ার আল নোমান, মধ্য গুণরাজদী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মহিউদ্দিন জাফরী, চাঁদপুর সদর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সালেহ উদ্দিন আহমেদ জিন্নাহ, আল- আমিন এতিমখানা কমপ্লেক্সের খতিব মাওঃ মোঃ মনির হোসাইন, মাওঃ মোঃ রাকিব হোসাইন প্রমুখ।

চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসিম উদ্দিন বলেন, কোরআন-হাদীস নিয়ে আলেম-ওলামা কথা বলবে। যার যেই দায়িত্ব, সেই সেটা করলে আর সমস্যা সৃষ্টি হয়না। যারা সমাজে ফেতনা সৃষ্টি করে তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে মাদক, বাল্যবিবাহ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, শহরের কোন মসজিদেই নামাজ নিয়ে আর বিঙ্খলা হবে না। কোথাও কোন অপিতকর ঘটনার আছ করতে পারলেই পুলিশকরে জানান।

যা ঘটেছিল সে দিন, মুসলমানদের মধ্যে ফেতনা সৃষ্টিকারী আহলে হাদিসের অনুসারী মুজাফফর বিন মুহসিন এলাহী মসজিদে জুমার নামাজ পড়ান। তিনি মসজিদের নিয়মিত ইমামকে বসিয়ে দিয়ে খুৎবার পূর্বে দীর্ঘ সময় ধরে বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এদিকে মসজিদে আগ থেকেই অন্য এলাকার আহ্লে হাদীসের অনুসারী কিছু যুবক মসজিদে এনে রাখা হয়। নূতন এ ইমাম খুতবা আরবীর পরিবর্তে বাংলায়, কাবলাল জুমা চার রাকাতের পরিবর্তে দু’রাকাত এবং ছানি আজান ছাড়াই খুৎবা দেন। তখন মসজিদের নিয়মিত মুসলি্লরা এর প্রতিবাদ করলে ভাড়া করা যুবকদের সাথে মুসলি্লদের মারামারি লেগে যায়। এহেন অবস্থায় মুজাফফর বিন মুহসিন তাড়াহুড়ো করে নামাজ পড়ে মসজিদ মহল্লা ত্যাগ করেন।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।