ষ্টাফ রিপোর্টারঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চাঁদপুরের ৫টি আসনে কারা পাচ্ছেন ধানের শীষ প্রতীক এ নিয়ে পুরো জেলায় চলছে ভোটারদের মাঝে নানান গুঞ্জন। তবে আগামি ৯ ডিসেম্বরের অপেক্ষায় তাকিয়ে আছে বিএনপির ভোটাররা। ৯ ডিসেম্বর জানা যাবে কে হচ্ছে স্ব স্ব আসনে প্রার্থী।
এদিকে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাস্তা-ঘাট, অফিস, আদালত পর্যন্ত কে হচ্ছে ধানের শীষ প্রার্থী, এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। কারণ বিএনপি সকল আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন। বিএনপির দলীয় নেতা-কর্মারা ছাড়াও আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের শরিকদের মাঝেও এনিয়ে আতঙ্ক বিরাজমান রয়েছে।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সংসদীয় আসনে ড. জালাল উদ্দিন (বিএনপি-ধানের শীষ), তানভির হুদা (বিএনপি-ধানের শীষ)।
চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর সদর ও হাইমচর) শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক (বিএনপি-ধানের শীষ), রাশেদা বেগম হিরা (বিএনপি-ধানের শীষ), অ্যাড. ফজলুল হক সরকার (নাগরিক ঐক্য/ বিএনপি-ধানের শীষ), এস এম আলম ( জাতীয় পার্টি /জেপি/ বিএনপি-ধানের শীষ), অ্যাড. সেলিম আকবর (গণ ফোরাম/জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ধানের শীষ)।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) সংসদীয় আসনে এম এ হান্নান (বিএনপি-ধানের শীষ), কাজী রফিকুল ইসলাম (বিএনপি-ধানের শীষ)। তবে এ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদ মনোনয়নপত্র জানা দেয়ার সময় কোন মার্কা বা কোন দল থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে তা উল্লেখ্য করা হয় না। পরে ২ ডিসেম্বর দলীয় মনোনয়নপত্র পেলেও তা গ্রহণ করেনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। কারণ এটা কোনো আইনের মধ্য পরে না।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) সংসদীয় আসনে মো. মমিনুল ইসলাম ( বিএনপি-ধানের শীষ), এম এ মতিন (বিএনপি-ধানের শীষ)।
এদিকে এ সকল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। তবে কেন্দ্রিয় ভাবে দল যাকে ঘোষণা করবে, সেই পাবে দলের প্রতীক। তবে কোন কোন আসনে নেতা কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে। কারণ তাদের মনোনীত প্রার্থীদেরকে দলীয় মনোনয়নপত্র দেয়নি কেন্দ্রিয় নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত ২ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুল রহমান খান বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।