মো. নাছির উদ্দীন: ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ (৮৩) আর নেই (ইন্নলিল্লাহি…রাজিউন)। আজ শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রী শোক জানিয়েছেন। স্যার ফজলে হাসান আবেদ মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে এবং তিন নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আগামী ২২ ডিসেম্বর রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। দুপুর সাড়ে ১২টায় সেখানেই নামাজের জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ একজন সমাজকর্মী এবং বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারী সংগঠন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। সামাজিক উন্নয়নে তার অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি র্যামন ম্যাগসেস পুরস্কার, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুবুল হক পুরস্কার এবং গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার লাভ করেন।শিক্ষাক্ষেত্রের নোবেল বলে খ্যাত ইয়াইদান পুরস্কারও লাভ করেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত করে।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তাঁর মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। স্যার ফজলে হাসান আবেদের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ঐ অঞ্চলের জমিদার। স্যার ফজলে হাসান আবেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে ও পরে ব্রিটেনের গ্লাসকো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে তিনি শেল অয়েল কোম্পানীতে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে স্যার ফজলে হাসান আবেদ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩৬ বছর। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৬৫ বছর বয়সে তিনি নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এরপর ১৮ বছর ব্র্যাকের চেয়ারপারসন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কয়েক মাস আগে অবসরে যান এই গুণী ব্যক্তি।
Leave a Reply