-
- মতলব উত্তর
- উন্নত চিকিৎসার জন্য মতলবের ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশের ভারত গমন
- Update Time : মে, ২৯, ২০২০, ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ
- 217 View
মো. নাছির উদ্দীন : হোক বল হাতে কিংবা নেতৃত্বে, বিশ বছরের ক্যারিয়ারে দেশকে দিয়েছেন উজাড় করে। ইঞ্জুরিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বার বার ফিরে এসেছেন বীর দর্পে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উত্থানের গল্পটাও তাই তার কাছে খুব চেনা। একটা সময়ের বোলার মাশরাফি পরবর্তীতে দলের অধিনায়ক বনে গেছেন। সাথে লাল-সবুজের ক্রিকেটও পদার্পণ করেছে নতুন অধ্যায়ে।
তবুও কোথাও যেন একটা গোলমেলে হয়ে যায় তার সাথে। সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০০৯ সালে। সেবার ওয়েস্ট-ইন্ডিজ সফরে মাশরাফির কাঁধেই ছিল নেতৃত্বভার। কিন্তু সেই ট্যুরটাই কাল হয়েছে মাশরাফির জন্য। ইঞ্জুরিতে পড়ে ছিটকে গেছেন দল থেকে। কথা ছিল আরেকটি টেস্টে খেলার মাধ্যমে অবসর নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। কিন্তু সে সুযোগ আর আসেনি প্রায় এক যুগেও। তাই দ্বীপ দেশে চোটের স্মৃতিতাই হয়ে আছে মাশরাফির টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টির বিষয়টাও যেন ভিন্ন নয়। তবে শ্রীলংকা সফরে ২০১৭ সালের মার্চে সর্বশেষ বিশ ওভারের ম্যাচটার প্রাপ্তি ছিল লম্বা দৈর্ঘ্যের চেয়ে কিছুটা সম্মানের। যদিও কথিত আছে বোর্ডের চাপেই অবসর নিয়েছেন ম্যাশ। তখনই বিদায় বলার ইচ্ছা ছিলোনা সাবেক অধিনায়কের। কিন্তু নতুনদের সুযোগ করে দিতে অবসরের আদেশ এসেছিল বিসিবি থেকেই।
টেস্ট-টোয়েন্টির পর এবার বাকি আছে ৫০ ওভারের ক্রিকেট। আর এখানেও যেন নাটকের শেষ নেই। কোনভাবেই মতের মিল হচ্ছেনা নড়াইল এক্সপ্রেসের অবসর নিয়ে। মাশরাফি চেয়েছিলেন বিশ্বকাপেই অবসর নিতে। কিন্তু বোর্ডের ইচ্ছা ছিল বেশ আয়োজন করে এই ক্রিকেটারকে বিদায় দিতে। তাই বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে ডেকে এনে আড়ম্বরভাবে একটি ম্যাচ আয়োজন করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
কিন্তু এতো পয়সা-কড়ি নষ্ট করে বিদায় নেয়ার পক্ষপাতী নন এই ফাস্ট বোলার। এটাকে অধিকার বহির্ভুতও মনে করছেন তিনি। সম্প্রতি জনপ্রিয় ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের এক ইউটিউব অনুষ্ঠানে এসে এমন কথাই জানিয়েছেন সদ্য ওয়ানডের অধিনায়কত্ব ছাড়া এই ক্রিকেটার। মাশরাফি বলেন- দেশে আসার পর ২ কোটি টাকা খরচ করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখন মনে হয়েছিল- মাঠ থেকে অবসরের জন্য এমন সুযোগ হয়ত মাশরাফির প্রাপ্য, কিন্তু তাই বলে একটি ম্যাচের জন্য ২ কোটি টাকা খরচ করার অধিকার তার নেই।
কিছুদিন আগেই পারিশ্রমিক নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটাররা। সেখানে তারা নিজেদের দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরেন। দাবি-দাওয়া নিয়ে কয়েকটি প্রস্তাবও রাখেন বিসিবির কাছে। অবশ্য সাকিব, তামিম, মুশফিকসহ জাতীয় দলের আরো কিছু ক্রিকেটার স্বশরীরে তাদের সমর্থন জুগিয়েছে। মূলত প্রথম প্রেণির ক্রিকেটারররা যেখানে ন্যায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না, সেখানে বিপুল অর্থ খরচ করে অবসর নেয়াকে বাড়াবাড়ি বলে মনে হয় মাশরাফির কাছে।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, যেখানে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের এই অবস্থা, সেখানে ২ কোটি টাকা খরচ করে অবসর নেওয়ার মানে নেই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের মনে পারিশ্রমিক নিয়ে কষ্ট আছে। সেখানে আমার জন্য ২ কোটি টাকা খরচ করে ম্যাচ আয়োজন করা বাড়াবাড়ি কিছু মনে হয়েছে।
Leave a Reply