মো. নাছির উদ্দীনঃ গত ২ ডিসেম্বর জিতেছিলেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ব্যালন’ ডি অর। এরপর গতকাল স্প্যানিশ লা লিগায় মাঠে নেমে রীতিমতো জাদুই দেখিয়েছেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারের ৫৩তম হ্যাটট্রিকে বার্সেলোনাকে এনে দিয়েছেন ৫-২ গোলের বড় জয়। মায়োর্কাকে হারানো এই জয়ে বাকি দুই গোল করেছেন লুইস সুয়ারেজ এবং অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান।
গত মাসেই সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে করেছিলেন ক্যারিয়ারের ৫২তম হ্যাটট্রিক। যা ছিলো স্প্যানিশ লা লিগায় তার ৩৪তম। সে হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে লা লিগায় সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের রেকর্ডে রোনালদোর পাশে বসেছিলেন মেসি। গতকাল রাতে ৩৫তম হ্যাটট্রিক করে ছাড়িয়ে গেলেন রোনালদোকেও।
অবশ্য মায়োর্কার জালে গোল উৎসবের শুরুটা করেছিলেন অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান। ম্যাচের মাত্র ৭ মিনিটের সময় গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগানের লম্বা করে নেয়া গোল কিক ধরে সহজেই বল জালে জড়ান ফরাসি তারকা।
দশ মিনিট পর লিওনেল মেসির গোলে সহায়তা করেন গ্রিজম্যান। তার থেকে পাওয়া বল ধরেই ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি। পেশাদার ক্যারিয়ারে ডি-বক্সের বাইরে থেকে করা লিওনেল মেসির ১১৭তম গোল এটি।
বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও দুই গোল করে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধের শেষ ৫ মিনিটেই হয় গোল দুইটি। ম্যাচের ৪১ মিনিটের মাথায় ইভান রাকিটিচের বাড়ানো বলে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ক্যারিয়ারের ১১৮তম গোলটি করেন লিওনেল মেসি।
দুই মিনিট পর মায়োর্কার জালে হালিপূরণ করেন বার্সেলোনার উরুগুয়াইন তারকা ফুটবলার লুইস সুয়ারেজ। তরুণ ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে অসাধারণ এক ব্যাকহিলে গোলের তালিকায় নাম এই ফরোয়ার্ড।
মেসি-সুয়ারেজের এ দুই গোলের আগেই অবশ্য একটি গোল শোধ করেন মায়োর্কার আন্তে বুদিমির। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরেকটু কমান বুদিমির। ফ্রান গামেসের ক্রসে হেড করে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। যার ফলে মেসির সঙ্গে তারও হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
কিন্তু শেষতক হ্যাটট্রিকের দেখা পান মেসিই। ম্যাচের ৮৩ মিনিটের মাথায় সুয়ারেজের বাড়ানো বল ধরে বুলেট গতির শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মেসি। যা কি না চলতি লা লিগায় তার ১২তম গোল।
৫-২ গোলের জয়ের পর শীর্ষস্থান ধরে রাখতে কোনো সমস্যাই হয়নি আর্নেস্ত ভালভার্দের শিষ্যদের। ১৫ ম্যাচে ১১ জয় ও ১ ড্রতে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে অবস্থান করছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট থাকলেও গোল গড়ে পিছিয়ে থাকায় দুই নম্বরে রয়েছে আরেক জনপ্রিয় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।
Leave a Reply