-
- মতলব দক্ষিন
- মতলবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিজয়ী
- Update Time : অক্টোবর, ২৯, ২০২০, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
- 308 View
শহিদুল ইসলাম খোকনঃ ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ ও জাতির জন্য যারা যুদ্ধ করেছিল তাদের মধ্যে একজন নূর ইসলাম। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি ভারত থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে নেমে পড়েন। বেশকয়েকবার তিনি খন্ড যুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনীর গোলাগুলি করেন এবং অল্পের জন্য রক্ষা পান।
এ বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের পাহারের চক গ্রামে। তিনি ১৯৯৩ সালের ২ রা আগস্ট মৃত্যু বরন করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ৪ মেয়ে রেখে যান।
বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলামের স্ত্রী ও সন্তানরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। স্ত্রী মোসাম্মৎ মরিয়ম বেগম বলেন, আমার ২ ছেলে আল-আমীন ও জুয়েল। একজন রিক্সা চালায় ও অন্যজন অটো চালায়। ৪ মেয়ে আছে। তাদের খুব কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছি। এক মেয়ে লিলি কোন রকম চলতে পাড়লেও বাকি ৩ মেয়ের অবস্থা খুবউ করুন । রিনা ও মিনার বিধবা।তারা মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করে। তাছলিমার স্বামী বাসের হেলপার। তারাও মানবেতর জীবনযাপন করছে।
আমার স্বামীর মাত্র ২ শতাংশ জমি আছে। এখানেই ছোট ছেলে জুয়েল, তার স্ত্রী, সন্তান ও আমি একটি দোচালা ঘরে থাকি। জুয়েল ঋন নিয়ে একটা অটো কিনছে। যা ইনকাম করে তা থেকে কিস্তি পরিশোধ করে যা থাকে তা দিয়ে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাই।বড় ছেলে আল-আমীন ঢাকাতে রিক্সা চালায়। তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সল্প আয়ে খুব কষ্টে আছে। বাড়িতে জায়গা ও ঘর না থাকায় সে বাড়িতে আসতে পারে না।
মতলব উত্তর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্প বা গমহ নির্মাণের জন্য আবেদন করে। কিন্তু আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেও মেলেনি কাং ক্ষতি আবাসন।
মরিয়ম বেগম আরও বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে নিজেকে ধন্য ও গর্ববোধ মনে করি। কিন্তু যেভাবে মানবেতর জীবনজাপন করছি তাতে নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়। তাই সরকারের কাছে আমার আবেদন, যদি আমারে একটা ঘর দিত তাহলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এক সাথে থাকতে পারতাম।
Leave a Reply