মো. নাছির উদ্দীন : বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। বেশিদিন থাকার ঝুঁকি নিতে না চাওয়ায় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছাড়া পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলতে অস্বীকৃতি জানায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পরে একটি টেস্ট খেলতে সম্মতি জানায় বলে শোনা যায়। এমনও শোনা যায়, টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাদ দিয়ে একটি টেস্ট খেলতে যাবে টাইগাররা।
এমনকি সফর বাতিল হওয়ার শঙ্কাও ছিল। শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতেই রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তিন ধাপের এই সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সাথে খেলার কথা ছিলো দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার। অথচ যেখানে এই সিরিজ খেলতেই অনিশ্চয়তার দোলাচলে ছিলো বিসিবি, সেখানে তৃতীয় ধাপে দ্বিতীয় টেস্টের আগে এখন এক ম্যাচের একটি ওয়ানডে খেলতেও রাজি বিসিবি।
যে সিরিজ ঘিরে এত সংশয়-শঙ্কা ছিল, সেই সিরিজটিতে উল্টো আরও একটি ওয়ানডে যোগ হলো! গুঞ্জন রয়েছে, এমনি এমনি নয়, এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টের আয়োজক হওয়ার আশ্বাসেই পাকিস্তানের বিপক্ষে পুর্নাঙ্গ সিরিজের সাথে একটি ওয়ানডে খেলতেও রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের মাটিতে হওয়ার কথা রয়েছে এশিয়া কাপ। কিন্তু রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে স্বভাবতই পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে যাওয়ার মতো অব্স্থায় নেই ভারত। আবার ভারতের মতো দলকে বাদ দিয়ে এশিয়া কাপ আয়োজনও সম্ভব নয়।
তাই আসন্ন এশিয়া কাপ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বাংলাদেশের কাছে ছেড়ে দিচ্ছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এমন খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন পাকিস্তানের প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান। তারপরও টুর্নামেন্টের ভেন্যু নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা ছিলই।
তবে এবার ভারতের গণমাধ্যম ‘মিরর’ দাবি করছে, পাকিস্তান নাকি সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ আয়োজনে রাজি হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) একজন কর্মকর্তা এই সংবাদপত্রের সঙ্গে আলাপে জানিয়েছেন, বিসিসিআই জানতে পেরেছে আসন্ন এশিয়া কাপ পাকিস্তানের বদলে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বিসিসিআইয়ের ওই কর্মকর্তার ভাষায়, ‘আমরা জানতে পেরেছি এশিয়া কাপের বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভায় নিরপেক্ষ ভেন্যু চূড়ান্ত করা হবে।’
এই বিষয়ে ‘মিরর’ পিসিবির চেয়ারম্যান এহসান মানির সঙ্গেও যোগাযোগ করে। তিনি সরাসরি ভেন্যু বদলের কথা নিশ্চিত না করে বলেন, ‘এটা আইসিসির হাতে। এসিসির সভায় ভেন্যু নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
দুই পক্ষের কথা শুনে মনে হচ্ছে, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টুর্নামেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে নিরপেক্ষ ভেন্যুটা আরব আমিরাতই হবে, সেটি এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশকে আয়োজক ঘোষণা করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
Leave a Reply