মো. নাছির উদ্দীন : টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ালো ৩ উইকেটে ২০০ রান। আর তখনই ম্যাচের ফলাফল অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। শুধু দেখার ছিল বাংলাদেশের জয়টা আসে কত রানের ব্যবধানে? উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হলো ১৯তম ওভার পর্যন্ত। আজ মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টির সিরিজের প্রথমটিতে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৪৮ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
এই জয়ের ফলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়টা ঠিকই পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৪৩ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে রানের হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ড সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে। সেদিন বাংলাদেশ জিতেছিল ৭১ রানের ব্যবধানে।
২০১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা জিম্বাবুয়ের কোনো ব্যাটসম্যানকেই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ওপেনার তিনাশে কামুনহুকামোয়ে (২৮) আর দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা কার্ল মুম্বা (২৫) ছাড়া কেউ ২০-এর বেশিই করতে পারলেন না! ঠিক ২০ রানে আউট হয়েছেন অবশ্য আরও তিন ব্যাটসম্যান—অধিনায়ক শন উইলিয়ামস, উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান রিচমন্ড মুতুম্বামি আর নয়ে নামা ডোনাল্ড তিরিপানো। জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মুগ্ধতা ছড়িয়ে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। দারুণ বোলিং করেছেন কার্টার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানও। ৪ ওভারে ৩২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ঝড়ের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। উদ্বোধনী জুটিতে এ দু’জন সংগ্রহ করেন ৯২ রান। এর ফলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড ছুঁয়েছেন এ দু’জন। ৩৯ বলে ৫৯ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে মিরপুরের দর্শকদেরও ভালোই আনন্দ দিয়েছেন লিটন দাস।
তামিম ইকবালও কম যাননি। ৩৩ বলে ৪১ রানে ফিরলেও ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পাওয়াটা বেশ ভালোভাবেই উদযাপন করেছেন তিনি। তাঁদের গড়ে যাওয়া ৯২ রানের ওপেনিং জুটি আর সৌম্য সরকারের ৩২ বলে ৬২ রানের টর্নেডো ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০০ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। এটি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে আজ ছক্কা হয়েছে ১২টি। এটি নিজেদেরই ছক্কার রেকর্ড নতুন করে ছোঁয়া। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১২ ছক্কা মেরেছিল বাংলাদেশ।
Leave a Reply