স্টাফ রিপোর্টরঃ হাইমচরের কাটাখালি হামিদিয়া আলিম সিঃ মাদ্রাসার ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ছাদ ঢালাই হবার পর পানি পরছে ছাদ থেকে। নিম্নমাণের ইট, সুরকী ও সাদা বালু বেশি এবং স্বল্প পরিমাণ সিমেন্ট দিয়ে ছাদ ঢালাই হয়। চারতলা ভবনের ভেইসের গভীরতা মাত্র চার ফিট।
চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার পশ্চিমচর কৃষ্ণপুর গ্রামে একশো পাঁচ বছর আগে (১৯০৫ইং) গড়ে উঠেছিলো কাটাখালি আলিম সিঃ মাদ্রাসা। ২০১৭ সালে মাদ্রাসার চারতলা ভবনের প্রথম তলা নির্মাণের জন্য টেণ্ডার অনুমোদন হয়। চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তর থেকে কাজের নির্দেশনা দেওয়া হয় ‘নুর হোসেন ট্রেডার্স’ নামক ঠিকাদার কোম্পানিকে। প্রথম তলার ভবন নির্মাণের জন্য বাজেট করা হয় ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার পাঁচশো টাকা। সেই কাজ শুরু করে ২০২০ সালে। বুধবার (১২আগস্ট) দেওয়া হয় ছাদ ঢালাই। রবিবার বৃষ্টি আসার পর দেখা যায় ছাদ থেকে পানি পরছে ভবনের ভিতরে। অভিযোগ পাওয়ার পরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নিম্নমানের ইট, ভীমে সিমেন্টের স্বল্পতা ও রাবিশের পরিমাণ বেশি। চারতলা ভবনের কনসোল ভীমে ছয়টি রডের বদলে রড দিয়েছে চারটি।
স্থানীয় হাসান নামে একজন অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষের এই কাজের ব্যাপারে আগ্রহ নেই। তিনি নাকি কাজ বোঝেন না, সব কিছু ঠিকাদারই করবে বলে জানান। কিন্তু তার বাড়িতে তিনি ঠিকই বিল্ডিংয়ের কাজ করিয়েছেন।
লামচরী গ্রামের বাসিন্দা খলিলুল্লাহ জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এই দুর্ণীতির সাথে জড়িত আছে বলে একালাকার মানুষের ধারণা।
নয়নি গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, ইঞ্জিনিয়ার এবং মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছাদ ঢালাইয়ের সময়ে এসে অল্প সময় অবস্থান করে চলে গেছেন। ঠিকাদার এই সময়ে ছাদ ঢালাইয়ে ব্যাপক অনিয়ম করে। যার ফলে আজকে পানি পরছে।
কাটাখালি গ্রামের সুলতান নামে আরেকজন জানান, মাত্র চার ফিট গভীর করে পিলার করেছে। এই পিলারের উপরে চার তলা একটি ভবন কতদিন দাঁড়িয়ে থাকবে সেটি একটি প্রশ্ন।
এব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শরিফ হোসেন খান জানান, আমি কাজের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ছিলাম কোন অনিয়ম হয়নি। তিনি এটাও স্বীকার করেন, ৪০ লাখ টাকা তাকে দিলে তিনি এর থেকে ভাল কাজ করে দিতেন।
ঠিকাদার সিরাজ পেদা জানান, চার ফিট গভীর করেই খুঁটি করা হয়েছে। ২০১৭ সালের এই কাজের বিল ছিল ৬৬ লাখ কিন্তু বর্তমানে এই কাজের বিল কমপক্ষে ৮৫ লাখ। এই কাজ করতে যেয়ে আমাদের কোন লাভ হচ্ছে না।
এদিকে চাঁদপুর শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, পাশে আরেকটি সাইট পরিদর্শন করতে যাওয়ার কারণে আমি সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারিনি।
Leave a Reply