মো. নাছির উদ্দীন : বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৮৮তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৯৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ৪৭০ জন। আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ১০৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৫১০টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৩টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
তিনি বলেন, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ২ হাজার ৬৯৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ১৪০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৪৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৭০ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ হাজার ৫৯০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ০২ শতাংশ।
ডা. নাসিমা বলেন, নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ৩৩ জন পুরুষ এবং চারজন নারী। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন এবং বাসায় মৃত্যু হয়েছে নয়জনের। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৫ জন, সিলেট বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের তিনজন, রাজশাহী বিভাগের দুজন, রংপুরের দুজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের একজন রয়েছেন। বয়সের দিক থেকে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন, ষাটোর্ধ্ব নয়জন, সত্তরোর্ধ্ব ১০ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের দুজন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেবেন। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করবেন। পানি ও তরল খাবার বেশি খাবেন। যারা সুস্থ হয়েছেন তারা মসলা দিয়ে পানি হালকা গরম করে খেয়ে উপকার পেয়েছেন। মধু, কালিজিরা খেয়েও অনেকে সুস্থ হয়েছে।
এছাড়া মৃতদের দেহ থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায় না উল্লেখ করে সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে দাফন বা সৎকার করা যাবে বলেও উল্লেখ করা হয় অনলাইন বুলেটিনে।
Leave a Reply