মো. নাছির উদ্দীন : প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছিল হেসেখেলেই। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অস্ট্রেলিয়ার চ্যালেঞ্জিং স্কোরকে সহজেই তাড়া করলো প্রোটিয়ারা। ৯ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ম্যাচ জয়ের গুরুদায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিলেন জানেমান মালান। এর আগে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন লুঙ্গি এনগিদি। ৬ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। যৌথভাবে ম্যাচসেরা হয়েছেন এই দু’জন।
প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৭১ রানে অলআউট হয় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চ আর ডি’আরকি শর্টের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে এই লড়াকু পুঁজি পায় সফরকারীরা। শুরুতেই ঝড় তুলেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং অ্যারন ফিঞ্চ। ৩৯ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তারা তুলেন ৫০ রান। ২৩ বলে ৩৫ রান করে ওয়ার্নার এনগিদির শিকার হয়ে ফেরার পরই খেই হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ১৩তম ওভারে টানা দুই বলে স্টিভেন স্মিথ (১৩) আর মার্নাস লাবুশানেকে (০) আউট করেন ওই এনগিদিই।
চতুর্থ উইকেটে ফিঞ্চ আর শর্ট ৭৭ রানের জুটি গড়েন। ৮৭ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৬৯ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন ফিঞ্চ। তবে শর্ট আরও অনেকটা পথ এগিয়ে দেন দলকে। পঞ্চম উইকেটে ৬৬ রানের আরেকটি জুটি গড়েন শর্ট আর মিচেল মার্শ। শর্টও ফিঞ্চের মত ৬৯ রান করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ৮৩ বলে ৫ বাউন্ডারিতে হাফসেঞ্চুরি ইনিংসটি সাজান শর্ট। ফের এনগিদির আক্রমণ। ৫৮ রান খরচায় একাই ৬ উইকেট নেন তিনি। ২ উইকেট নেন এনরিচ নর্টজে।
রান তাড়ায় নামতে না নামতেই ইনিংসের তৃতীয় বলে প্রোটিয়া অধিনায়ক কুইন্টন ডি কককে (০) বোল্ড করেন মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় উইকেটে জন স্মাটকে নিয়ে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন মালান। তারা যোগ করেন ৯১ রান। ২১তম ওভারে এসে অ্যাডাম জাম্পার শিকার হন স্মাট (৪১)। এরপর দ্রুতই আরও একটি উইকেট তুলে নিয়ে প্রোটিয়াদের ফের চাপে ফেলে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ১০৩ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
তবে একটা প্রান্ত ধরে রেখে দলকে সহজ জয়ের পথেই এগিয়ে নিয়েছেন মালান। চতুর্থ উইকেটে হেনরিক ক্লাসেনকে নিয়ে ৮১ আর পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলারের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৯০ রানের জুটিতে ম্যাচ বের করে মাঠ ছেড়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ক্লাসেন ৫১ রানে ফেরার পর মিলার অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে। আর ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এসেই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির দেখা পান মালান। ১৩৯ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় হার না মানা ১২৯ রানের ইনিংস খেলেন ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ।
Leave a Reply