‘ইতিকাফ’ আরবি শব্দ। এর অর্থ অবস্থান করা, আটকে থাকা ইত্যাদি। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূল (স)’র সন্তুষ্টির জন্য সাংসারিক কাজকর্ম ও পরিবার থেকে আলাদা হয়ে ইবাদতের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। অর্থাৎ এমন কাজ যা সবার উপর আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। কিন্তু এলাকাবাসীর পক্ষে কেউ কেউ (অন্ততঃ একজন) আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যায়। আর অনাদায়ে সকলেই গুনাহগার হবে।
রাসূলে পাঁক (স) প্রতি রমাদ্বানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতেন। এ আমল তাঁর ওফাতকাল পর্যন্ত বহাল ছিল। মহানবী (স)’র ওফাতের পর তাঁর পবিত্রতম স্ত্রী মহোদয়গণ এ নিয়ম পালনে ব্রতী হন। (বুখারী)
আয়েশা (রা) বর্ণিত,মহানবী (স) বলেন, ইতিকাফ কারীর জন্য সুন্নাত হলো, তিনি কোন রুগীকে দেখতে যাবেন না, জানাযার নামাজে উপস্থিত হবেন না, স্ত্রীকে স্পর্শ করবেন না এবং তার সাথে মেলামেশাও করবেন না। আর যা না হলেই নয় এমন প্রয়োজন ছাড়া বের হবেন না। রোজা ব্যতিত ইতিকাফ হয় না। (আবু দাউদ, মিশকাত)
মহানবী (স) আরো বলেন, ইতিকাফকারী গুনাহসমূহ হতে বিরত থাকে এবং তার জন্য সকল নেককারগণের সমতুল্য নেক দেয়া হয়। (ইবনে মাযাহ)
মহানবী (স) বলেন, যে ব্যক্তি রমাদ্বানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করল সে যেন দু’টি হজ্জ ও দু’টি ওমরাহ আদায় করল। (বায়হাকী)
মহিলাদের কেউ ইতিকাফ করলে ঘরের ভিতর নির্জনে করবে। এতে লাইলাতুল ক্বদর নসিব হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
হে দয়াময়! আপনার হাবীব (স)’র উসিলায় সকলের ইতিকাফ কবুল করুন।
আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ধর্মীয় শিক্ষক
চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মতলব উত্তর, চাঁদপুর
Leave a Reply