মো. নাছির উদ্দীনঃ আজ সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিং-এর ৩৯তম জন্মদিন। ১৯৮১ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের চন্ডীগড়ে জন্মগ্রহণ করেন এই জনপ্রিয় ক্রিকেটার। এই অলরাউন্ডার বাঁহাতি মিডিয়াম পেস বোলার এবং বাঁহাতি মিডলঅর্ডারে ব্যাট করতেন। তাঁর পিতা পাঞ্জাবের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকা যোগরাজ সিং।
২০০০ সালে ওডিআই ক্রিকেটে অভিষেক হয় যুবরাজের। ওডিআই অভিষেকের তিন বছর পর ২০০৩ সালের অক্টোবরে সাদা পোশাকের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। ২০০৭ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবং ২০১১ সালের আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন যুবরাজ সিং। ২০১১ সালের আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হন তিনি। ২০০০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন যুবরাজ সিং। ২০০৭ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ছয়টি ছক্কা মেরে বিশ্বরেকর্ড গড়েন তিনি। একই ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়েন যুবরাজ সিং। মাত্র ১২ বলে এই কীর্তি স্থাপন করেন তিনি। ২০১১ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একই ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি।
সেই বছরই অর্থাৎ ২০১১ সালে যুবরাজের বাম ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। বোস্টন এবং ইন্ডিয়ানাপলিসে কেমোথেরাপির মাধ্যমে সুস্থ্য হয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে প্রত্যাবর্তন করেন এই সুদর্শন ক্রিকেটার।
ক্রিকেটে তার অসামান্য অবদানের জন্য ২০১২ সালে অর্জুন পুরস্কার লাভ করেন যুবরাজ সিং। এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া পুরস্কার। পরবর্তীকালে, ২০১৪ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে। এটি ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। ২০১৪ আইপিএল নিলামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু যুবরাজকে ঐ সময়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ ১৪ কোটি টাকা দিয়ে তাঁদের দলভুক্ত করে। ২০১৫ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস তাঁকে ১৬ কোটি টাকা দিয়ে তাঁদের দলে নিয়েছিল।
২০১৭ সালের জুন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার পর আর ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ পাননি এবং সেটাই ছিল তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বশেষ খেলা। অবশেষে ২০১৯ সালে যুবরাজ সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।
Leave a Reply