মো. নাছির উদ্দীন : ‘আমায় ডেকো না-ফেরানো যাবে না-ফেরারি পাখিরা কুলায় ফেরে না’। নিজের গানের সুর ধরেই ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন প্রখ্যাত সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক লাকী আখান্দ।
গানে গানে যিনি বলেছিলেন, ‘বিবাগী এ মন নিয়ে জন্ম আমার,যায় না বাঁধা আমাকে কোনো কিছুর টানের মায়ায়।’ সত্যিই তাই হল, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাজার ভক্তের মায়াও পরাজিত তার কাছে। ৬১ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলা গানের জনপ্রিয় এই সঙ্গীতশিল্পী । আজ তার মৃত্যুর তৃতীয় বছর পূর্ণ হলো। ২০১৭ সালের এই দিনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন লাকী আখন্দ।
‘এই নীল মনিহার’, ‘আবার এল যে সন্ধ্যা’, ‘আগে যদি জানতাম’ এবং ‘আমায় ডেকো না’ বিখ্যাত এই গানগুলোর স্রষ্টা লাকী আখান্দ চলে গেছেন, তবে রেখে গেছেন কালজয়ী কিছু গান। যা দিয়ে আজীবন ভক্তদের মনে গেঁথে থাকবেন তিনি।
সুর ও সংগীতায়োজনের কিংবদন্তি তিনি। সফট-মেলোডি, মেলো-রক, হার্ড-রক সব ধরণের গান তার ছোঁয়ায় অতুলনীয় হয়ে উঠতো। লাকী আখন্দের জনপ্রিয় অ্যালবামগুলির মধ্যে রয়েছে পরিচয় কবে হবে (১৯৯৮), বিতৃষ্ণা জীবনে আমার (১৯৯৮), আনন্দ চোখ (১৯৯৯), আমায় ডেকো না (১৯৯৯), দেখা হবে বন্ধু (১৯৯৯) ইত্যাদি।
ক্ষণজন্মা এই শিল্পী গান গাওয়ার পাশাপাশি সুর করেছেন অন্য শিল্পীদের জন্যে। তার গানে কন্ঠ দিয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ, সামিনা চৌধুরী, জেমস, হাসান প্রমুখ। অন্যান্য যেসব শিল্পীর গান তিনি রচনা ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- হ্যাপী আখন্দের ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, কুমার বিশ্বজিতের ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, সামিনা চৌধুরীর ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ফেরদৌস ওয়াহিদের ‘মামনিয়া’। গান করার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ বেতারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বরত ছিলেন।
Leave a Reply