মো. নাছির উদ্দীন : আইসিসি অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। সেই সাথে আইসিসির কোনো বৈশ্বিক আসরে প্রথমবারের মতো ফাইনালে নাম লিখিয়েছে জুনিয়র টাইগাররা। এর আগে ২০১৬ সালে নিজেদের মাটিতে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছিল যুবা টাইগাররা।
৯ ফেব্রুয়ারি পচেফস্ট্রুমের ফাইনালে ভারতকে হারাতে পারলেই আকবর আলীদের সামনে স্বপ্নপূরণের হাতছানি। আর তাতেই বিশ্বজয় করে দেশে ফিরবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জুনিয়র ভারতীয়দের হারাতে পারলে যে কোনো ফরম্যাটে আইসিসির বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতবে জুনিয়র টাইগাররা। যা সাকিব-তামিমরাও করে দেখাতে পারেননি।
আজ দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমের সেনবিজ পার্কে দুপুর ২টায় খেলাটি শুরু হয়। বাঁচা-মরার এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী। আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশী যুবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১১ রানের বেশি করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড যুবারা। ২১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়ের নায়কোচিত সেঞ্চুরিতে ৩৫ বল ও ছয় উইকেট হাতে রেখেই সহজ জয় তুলে নেয় জুনিয়র টাইগাররা।
অবশ্য বাংলাদেশ যুবাদের শুরুটাও ভালো হয়নি। দলীয় ২৩ রানে ওপেনার তানজীদ হাসান (৩) এবং দলীয় ৩২ রানে অপর ওপেনার পারভেজ হোসাইন ইমন (১৪) রানে আউট হয়ে গেলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জুনিয়র টাইগাররা। এরপর দলের হাল ধরেন মাহমুদুল হাসান জয় ও তৌহিদ হৃদয়। তাদের ৬৮ রানের পার্টনারশীপে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। দলীয় ১০০ এবং ব্যাক্তিগত ৪০ রানে তৌহিদ হৃদয় রানআউটের শিকার হয়ে ফিরে গেলেও মাহমুদুল হাসান ফিরেন (১০০) সেঞ্চুরি করেই। ম্যাচ সেরা এই তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটার ১২৭ বলে ১৩ চারের সাহায্যে তার সেঞ্চুরিটি পূর্ণ করেন । এবারের আসরের এবং কোনো বাংলাদেশী ক্রিকেটারের প্রথম সেঞ্চুরি এটি।
সেঞ্চুরির পরের বলেই মাহমুদুল হাসান আউট হয়ে ফিরে গেলেও জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি বাংলাদেশের। দলকে ফাইনালে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ত্যাগ করেন শাহাদাত (৪০) ও শামীম হোসাইন (৫) ।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে কিউই যুবাদের চেপে ধরেন শরিফুলরা। ইনিংসের পাঁচ রানের মাথায় ওপেনার মারিউকে সাজঘরে পাঠান শামীম হোসেন। সেই বিপর্যয় আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি কিউই যুবারা। দলীয় ৭৪ রানের মধ্যে চার উইকেট ফেলে দিয়ে কিউই যুবাদের বড় সংগ্রহের দিকে যেতে দেননি রাকিবুল ও শামীমরা।
পরে দলের হাল ধরেন হুইলার গ্রিন্যাল। তার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৭৫ রান। এ ছাড়া ৪৪ রান করেন লিডস্টোন। টাইগার যুবাদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন শরীফুল ইসলাম। দুটি করে উইকেট নেন শামীম হোসেন ও হাসান মুরাদ।
বাংলাদেশে একাদশ : তানজিদ হাসান, পারভেজ হোশেন, মাহমুদুল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, শাহাদাত হোসেন, আকবর আলি (অধিনায়ক ও উইকেট রক্ষক), শামিম হোসেন, তানজিম হাসান, রাকিবুল হাসান, হাসান মুরাদ ও শরিফুল ইসলাম।
Leave a Reply